🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️🖥️
ফ্রিল্যান্সিং কি, কেন করবেন,
কোথায় করবেন? ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ কি ?
.
প্রথমেই বলা দরকার যে, English এ দক্ষতা অর্জন ভালো ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সহায়ক।
ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং
শব্দের মূল অর্থ হল মুক্ত পেশা।
.
অর্থাৎ মুক্তভাবে কাজ করে আয়
করার যে পেশা তকেই আলে
ফ্রিল্যান্সিং বলা হয় । আর একটু
সহজ ভাবে বললে, ইন্টারনেটের
ব্যাবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ
করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের
বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব
কাজ করানোকে ফ্রিল্যান্সিং বা
আউটসোর্সিং বলে। যারা
আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন,
তাঁদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।
.
.
কেন ফ্রিল্যান্সিং ?
.
বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিংয়ের
বিশাল বাজার বা অনলাইন
মার্কেট প্লেস এর শীর্ষ ভাগ
আমাদের পাশের দেশ ভারতের
হাতে। ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিসে
ভারতের পাশাপাশি ফিলিপিনস,
পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া,
ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেন, ব্রাজিল,
আর্জেন্টিনা, চীন, রাশিয়া,
পানামা, মিসর এবং আরও অনেক
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অনলাইন
মার্কেট প্লেসে বাংলাদেশ অনেক
দেরিতে প্রবেশ করলেও স্বপ্ন
দেখার মতো বিষয় হচ্ছে,
ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংয়ে
আমরা ধীরে ধীরে হলেও এগিয়ে
যাচ্ছি। সম্ভাবনাময় দেশের
কাতারে চলে এসেছে বাংলাদেশ।
তাই আউটসোর্সিংয়ের মতো শিল্প
হয়ে উঠছে বেকার সমস্যা
সমাধান এবং বৈদেশিক মুদ্রা
অর্জনের অন্যতম উপায়।
ফ্রিল্যান্সিং এর বেস কিছু
সুভিদার মদ্ধে অন্যতম আপনার
কোন নির্দিষ্ট কোন সময় নাই
ইচ্ছামত সময় বের করে নিয়ে
কাজ করা সম্ভব পড়াশুনায় বা
অফিসের তেমন ক্ষতি হয় না ।
অনেকটা নিজের ইচ্ছার উপর
নির্ভর করে আপনি কখন কাজ
করবেন বা কখন করবেন না।
বাসায় বসে কাজ করুন। বাহিরে
বের হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
হরতাল আপনার কাজে কোন বাধা প্রদান করবে না খোলা থাকবে আপনার অনলাইন মার্কেট প্লেস । শিক্ষাগত যোগ্যতা বা বয়সের গন্ডি নেই। কেও কেও অবসর নেওয়ার পরেও শুরু করেন। কাজেই, এখানে কাজ পারাটাই মুখ্য, আপনার বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতা নয় (৯৫% ক্ষেত্রে)।
.
.
অনলাইনে আয়ের জন্য কি কি
যোগ্যতা প্রয়োজন:-
.
অনলাইনে আয় করার জন্য খুব
বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না।
নিচের ছয়টি গুণই যার মধ্যে
আছে সেই কেবল অনলাইনে আয়
করার জন্য সমর্থ হবেন। গুণ ছয়টি নিন্মে দেয়া হলো :-
.
১. বিশ্বাস
২. ধৈর্যশীলতা
৩. সততা
৪. আত্মবিশ্বাস
৫. ইংরেজীতে দক্ষতা
৬.কম্পিউটার জ্ঞান
উপরোক্ত বিষয় গুলো যদি আপনি
মানতে না পারেন তবে আপনার
পক্ষে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার
হওয়া কখনোই সম্ভব না।
.
ফ্রিল্যান্সিং কি:
.
ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ দাড়ায়
মুক্ত পেশা, স্বাধীনভাবে কাজ
করা। যারা স্বাধীনভাবে কাজ
করেন তাদেরকে বলা হয়ে থাকে
ফ্রিল্যান্সার। চাকরি যেমন
একটি পেশা তেমনি Freelancing একটি পেশা।
.
চাকরি করতে হলে অফিসের বস
বা যার চাকরি করেন তার কথা
অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয়।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করতে কোন
অফিসের বসের কথা না মানলেও
চলবে কারন আপনি নিজেই নিজের বস, ইচ্ছা হলে কাজ করবেন, না হলে করবেন না। ফ্রিল্যান্সিং সাধারনত দুভাবেই করা যায় অনলাইন এবং অফলাইন। মূলত অনলাইনেই ফ্রিল্যান্সিং বেশী করা হয়ে থাকে।
.
মূলত উন্নত দেশগুলোর কাজের রেট খুব বেশী তাই তারা চান তাদের কাজগুলো তারা নিম্নআয়ের দেশের লোকেদের কাছ থেকে করিয়ে নেবেন। এতে তাদের খরচ কমবে ।
.
তেমনি নিম্নআয়ের দেশের
লোকেরা সেই কাজগুলো করে দিলে
যথেষ্ট উপার্জন করতে পারবে।
.
.
মার্কেটপ্লেস কি ?
.
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে বিদেশী
ক্লায়েন্টরা তাদের এই কাজগুলো
সরাসরি করান না এবং যারা
এসব কাজ করে দেন তারাও
সরাসরি করে দেন না। এ দুইয়ের
মাঝে থাকে একটি মার্কেটপ্লেস
যাকে বলা হয়ে থাকে
ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস।
এখানে ক্লায়েন্টরা কাজ জমা
করেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা সেই
কাজ করে দেন, বিনিময়ে অর্থ
পান। অনলাইনে বহু মার্কেটপ্লেস
রয়েছে যেখানে ফ্রিল্যান্সিং এর
কাজ পাওয়া যায়।
.
.
প্রশ্ন করতে পারেন কাজগুলো কি
কি?
.
নানারকম কাজ পাওয়া যায়। এক
কথায় বলতে গেলে কম্পিউটার
দিয়ে যা যা করা সম্ভব প্রায়
সবই। তবে বাংলাদেশীরা যে কাজগুলো বেশী করে তা হল-গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
.
.
কেন করবেন:-
.
প্রথমেই বলা হয়েছে
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্তপেশা।
এটা বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন
কারনে করতে পারেন। নির্দিষ্ট
করে বলা সম্ভব নয়।তবে
সাধারনত যেসব কারনে মানুষ
ফ্রিল্যান্সিং করেন তার একটা
নমুনা তুলে দেওয়া হচ্ছে-
বেতন কম: অনেকে রয়েছেন যিনি কোন সরকারী বা বেসরকারী চাকরি করেন,কিন্তু তার বেতন কম।এজন্য তিনি অতিরিক্ত সময়ে
ফ্রিল্যান্সিং করে তার আয়
বাড়ান।এমন উদাহরনও আছে যে
অনেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং করছেন।
.
.
ছোটখাট ব্যবসা:
.
কেউ কেউ খুব ছোট আকারে ব্যবসা করেন, ব্যবসাতে তার সময়ও তেমন ব্যয় হয় না তেমনি সেখান থেকে তার খুব বেশী লাভও আসে না। এখন তিনি চান তিনি তার ব্যবসা করার সময় বাদ দিয়ে যে অতিরিক্ত সময় পান সেই সময়ে তার যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করবেন একইসাথে তার সময়কে কাজে লাগানো হবে।
.
.
পেশা হিসাবে:
.
কেউ কেউ এটাকে তার পুরোপুরি
পেশা হিসাবে নিতে চায়। কারন
হিসাবে বলা যায় সে কম্পিউটারের বেশ কিছু বিষয়ে
খুবই পারদর্শী, এখন তিনি
চাচ্ছেন তিনি সেই দক্ষতাটাকেই
কাজে লাগাবেন। একদিকে তার
অর্থ উপার্জন হবে অন্যদিকে তার
দক্ষতাগুলো আরো ধারালো হবে।
তাছাড়া যোগ্য ব্যক্তিকে বেশী
দেরী করেত হয় না কাজ পেতে,
কম যোগ্যতাসম্পন্নদের মত।
কাজেই তার জন্য এটাই বেশী
সুবিধাজনক।
No comments:
Post a Comment
Thanks